চুন-সুরকির পথ ধরে নীলকুঠি অভিমুখে ইংরেজ সাহেবদের যাতায়াত; কখনও পায়ে হেঁটে, টমটমে, জিপে কখনও-বা ঘোড়ার পিঠে শপাং শপাং চাবুক হেনে ধুলো উড়িয়ে কুঠি অভিমুখে রওনা হয়। তাদের যাতায়াতের জন্যই মুর্শিদাবাদের নির্জন লোকালয়ে রাজকীয় সব আয়োজন। ফলে প্রজাদের মধ্যে রাজানুভূতি! ঘনীভূত সন্ধ্যার বিশুদ্ধ তন্ময়তায় অনুভূতির দুয়ার আরও বেশি প্রশস্ত! থামের অগ্রভাগে কর্মচারীরা প্রদীপ ঝুলিয়ে দেয়। সারিবদ্ধ আলোর ফোয়ারা! আলোয় আলোয় চতুর্দিক উদ্ভাসিত!
ওই আলোর দিকে তাকিয়ে সাধারণের চোখ ধাঁধিয়ে যায়, একটু একটু করে ঘোরের আবর্তে নিমজ্জিত হয়। আনমনে পথ হাঁটে; গ্রাম ছাড়িয়ে, মাঠ পেরিয়ে, নদীর ওপারে - যেখানে আকাশ ও মাটি একত্রিত হয়েছে সেখানে পৌঁছানোর আগেই আলোকরশ্মি হারিয়ে যায়; আঁধারের অস্তিত্ব প্রকট হয়ে ওঠে; মনে মনে ভাবে, আলো নয় অন্ধকারই জীবনের চরম ও পরম সত্য!